যারা একদম নতুন এবং ফ্রিল্যান্সিং সর্ম্পকে জানার খুব আগ্রহী তাদের জন্যঃ
জানতে হলে, প্রথমে আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, বুঝতে হবে এবং সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। আপনার সিদ্ধান্ত কেউ নিবে না ।

আপনি যদি কম্পিউটার চালানোয় দক্ষ হয়ে না থাকেন । ছোট খাটো এডমিন সাপোর্ট বিষয়গুলো না জেনে থাকেন । তাহলে দয়া করে আগে Microsoft Office ( Word, Excel, PowerPoint ) , Email Account Open, Email, Internet Browsing , Software Install করা, Windows Setup দেওয়া ; এই সব কাজ আগে ভালো করে শিখুন । আপনি যদি Basic ভালো না হন । হুট করেই ডিজাইন অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর মতো কাজ করবেন ভেবে বসেন, তাহলে আপনি একজন ভালো মানের বোকা ধরে নেওয়া যায় ।
একটি কাজে স্কিল হতে গেলে আপনাকে যেমন অনেক অনেক শিখতে হবে, জানতে হবে । ঠিক তেমনই ভালো ভাবে নিজের উপর আত্মবিশ্বাসও থাকতে হবে।
একজন ছাত্র/ছাত্রী যেমন স্কুলে ভর্তি হয়েই জে.এস.সি পরিক্ষা দিতে পারে না। তারজন্য ৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়। ঠিক তেমন ৩ মাসের কোর্সে একজন ডিজাইনার হয়ে যায় না; এর জন্য অভিজ্ঞতা এবং পরিশ্রম প্রয়োজন। আপনি অনেক বড় বড় পাশ দিয়েছেন; অনেক ডিগ্রী অর্জন করেছেন কিন্তু কম্পিউটারের বিষয়ে আপনি অদক্ষ। তাহলে সেই পাশের বা ডিগ্রীর কোন মূল্য নেই। কারণ, ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য ডিগ্রীর প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন হলো- অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে ভালভাবে জানা।
তাই আপনাদের উদ্যেশে একটা কথা বলবো, কাজ করতে গেলে প্রচুর অনুশীলন আর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অযোগ্য হয়ে মার্কেটে নেমে গেলেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা শুরু করলেন; হয়তো সফলতা পাবেন, যা একদম সাময়িক ।
আপনাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট বাড়ানোর জন্যে অবশ্যই আমাদের (প্রতিষ্ঠান) সাথে সরাসরি অফিসে এসে যোগাযোগ করবেন এবং দয়া করে ফোনে প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করবেন না । কারণ ফোনের মাধ্যমে আপনাকে সকল বিষয়ে বুঝানো বা বলা অসম্ভব।
আগে আমাদের ওয়েবসাইট এর পেইজগুলো পড়ুন এবং বুঝার চেষ্টা করুন যে আপনি এই কাজের জন্য তৈরি কি না !! তারপর আমাদের অফিসে এসে বিস্তারিত জানুন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কোন স্কিল নিয়ে শুরু করবেন স্বপ্নের ফ্রিল্যান্সিং?
ফ্রীলেন্সিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন, আমি প্রায়ই কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই | নতুনদের আগ্রহ দেখে আমি অনেক আনন্দিত হই| প্রায়ই ফোন পাই, যারা গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে চান অথবা কিছু প্রশ্ন করে থাকেন । প্রশ্ন গুলো নিন্ম রূপঃ
- অনলাইনে কি ধরনের কাজ করা যায়?
- কোন কাজে করে অনলাইনে বেশি টাকা আয় করা যায়?
- কোন কাজ অল্প সময়ে শিখা যায়?
- কিভাবে অল্প সময়ে অনলাইনে টাকা উপার্জন করা যায়?
- কিভাবে অল্প সময়ে অনলাইনে আয় করে নিজের ছাত্রজীবনের খরচ মিটানো যায়?
- কিভাবে অনলাইনের টাকা লোকাল ব্যাংক-এ অথবা হাতে পাওয়া যায়?
- কাজ করিয়ে টাকা দেয়না এমন হয় কি?
- আসলেই কি টাকা পাবো, না কি প্রতিষ্ঠান কে খুজেঁ পাওয়া যাবে না?
অনলাইনে সকল ধরনের / পেশার কাজ করেই টাকা উপার্জন করা যাই, তবে যে পেশায়-ই কাজ করবেন সেটিতে আপনার ভালো দক্ষতা থাকে হবে| আর দক্ষ হতে হলে আপনাকে কাজে সময় দিতে হবে, কাজকে সম্মান এবং নিদিষ্ট সময় ব্যয় করতে হবে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ-ই মাল্টিট্যালেন্টেড; উনারা একসাথে একাউন্ট বিভাগের কাজ করেন আবার পাশাপাশি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, এইচটিএমএল, পিএইচপি, সিএসএস, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা সব কাজে দক্ষ! ওয়াও! সুপারম্যান! হুহ? ঠিক
উনি অনেক কিছু জানেন, কিন্তু অনলাইনে আয় করার জন্যে এত বিষয় জানতে হয় না, একটি বিষয়ে ভালো জানলেই টাকা আয় করতে পারেন| অনেক বিষয় জানেন, কিন্তু কোনটিতে-ই ভালো দক্ষতা নেই; তাহলে আপনি নতুন করে শুরু করুন। একটা পছন্দের পেশা / বিষয় নির্বাচন করুন যা হবে আপনার পরিচিতি (identity), বাকি বিষয় গুলো আপনার অলংকার| আপনার নাম কিন্তু জনাব করিম হতে পারে। আপনি আপনার মায়ের কাছে ‘গাব্লু’, অথবা প্রিয়জনের কাছে ‘বাবু’, আর বাকি সবার কাছে আপনি করিম | স্কিল এর বেলায় ও ঠিক এমন-ই| আপনি নিদ্ধারন করুন কোনটিকে পেশা হিসাবে নিবেন|
ডিজাইন এন্ড আউটসোর্সিং –
আমি নিজেই একজন ডিজাইনার। ডিজাইন আমার পছন্দের পেশা| বর্তমানে এই ক্যাটাগরিতে কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তালিকার উপরে| আপনিও যুক্ত হতে পারেন এই দলে| এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, প্রিন্ট ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি | এদের মধ্যে ভিডিও এডিটিং ছাড়া বাকি সবগুলো করতে পারবেন যদি আপনি যদি ফটোশপ আর ইলাস্ট্রেটর জানেন, তবে এর সব গুলো আপনাকে জানতে হবে না|
স্মরণ রাখতে হবেঃ আপনি কেবল ফটোশপ আর ইলাস্টেটর জানলেই ডিজাইনার হয়ে যাবেন এমন না| ডিজাইন হচ্ছে creativity, নতুন কিছু তৈরি করার ক্ষমতা থাকতে হবে|